রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:মানুষের জীবন বাঁচানো ডাক্তারদের নৈমত্তিক কাজ। প্রতিদিন তাদের কারণেই মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসেন হাজারও রোগী। তবু অগোচরেই থেকে যায় ডাক্তারদের ত্যাগ-তিতীক্ষা আর ধৈর্য্যের গল্পগুলো। তবে এসবের মধ্যে ব্যতিক্রম সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আগুনের ঘটনা। এদিন শুধু রোজকার সেবা-শুশ্রুষা নয়, নিজের জীবন বিপন্ন করে হাজার হাজার রোগীর জীবন বাঁচিয়েছেন অকুতোভয় ডাক্তাররা।কোনো পত্র-পত্রিকায় আসেনি ডাক্তারদের এমন সাহসিকতার খবর। তবু চাপা থাকেনি সত্যটা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তরোগ বিভাগের রেসিডেন্ট ও সঙ্গীত শিল্পী ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল ফেসবুকের স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন ওই সময়ের কিছু কথা। তিনি লিখেছেন-
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি কনসাল্ট্যান্ট ডাঃ Farhad Uddin Ahmed ভাইয়ের স্ট্যটাস পড়ে জানলাম অভাবনীয় অতুলনীয় মানবিকতায়, সাহসে আর বুদ্ধিমত্তায়, চিকিৎসকবৃন্দ, সেবিকাবৃন্দ, হাসপাতালের ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ, কর্মচারীবৃন্দ, ছাত্রলীগের ত্যাগী কর্মীবৃন্দের বদৌলতে বেঁচে গেল অনেক অসহায় মুমূর্ষু প্রাণ।সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের হাত থেকে অসহায় রোগীদের রক্ষা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া সকল চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রীদের প্রতি নত মস্তকে কৃতজ্ঞতা জানাই।এ জাতীয় অগ্নিকান্ডের কথা মনে হলে গার্মেন্টস কর্মীদের কথা মনে পড়ে।কেবল ভাবছি আজ একটি গার্মেন্টস এ আগুন লাগলে কি হতো? তাদের কর্মকর্তারা কি ছুটে যেতেন কর্মীদের উদ্ধার করতে? একজন কর্মীও অগ্নিদগ্ধ হলো না- এমন সংবাদ কি পাওয়া যেত?সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদাহরণ হোক। মানবিক সমাজ গড়ে উঠুক নানারকম আগুনে পোড়া বাংলাদেশে।
Leave a Reply